বিকাশ একাউন্ট নেই এমন নাম্বারে টাকা পাঠিয়ে ফেলেছেন? টাকা ফেরত পেতে করণীয় কী জানতে চাইলে পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়ুন।

বিকাশ ব্যবহার করে লেনদেন করার সময় ভুলবশত আমরা যদি অন্য নাম্বারে টাকা সেন্ড করে দেই, তাহলে ভোগান্তির শিকার হতে হয়। বিকাশ একাউন্ট আছে এমন নাম্বারে ভুলে টাকা সেন্ড করলে সেই টাকা ফেরত পেতে কিছুটা ভোগান্তি পোহাতে হয়।

কিন্তু, বিকাশ একাউন্ট নেই এমন নাম্বারে টাকা গেলে আমরা অনেক দ্রুত সময়ে একাই এই টাকা ফেরত নিয়ে আসতে পারবো। তো চলুন, কীভাবে নন নন বিকাশ নাম্বারে পাঠানো টাকা ফেরত আনা যায় বিস্তারিত জেনে নেয়া যাক।

বিকাশ একাউন্ট নেই এমন নাম্বারে টাকা গেলে করণীয়

বিকাশ একাউন্ট নেই এমন নাম্বারে টাকা গেলে উক্ত নাম্বারের মালিক ৭২ ঘণ্টার মাঝে বিকাশ একাউন্ট খুললে টাকাটি তার একাউন্টে ঢুকে যাবে। এতে করে, টাকা ফেরত পেতে সমস্যা হবে। কিন্তু, উক্ত নাম্বারে বিকাশ খোলার আগেই আমরা বিকাশ অ্যাপ ব্যবহার করে টাকা ফেরত আনতে পারবো।

নন বিকাশ নাম্বারে ভুলে টাকা চলে গেলে এই টাকা ফেরত আনার জন্য বিকাশ অ্যাপ ওপেন করতে হবে। এরপর, সেন্ড মানি অপশনে গিয়ে টাকার পরিমাণ দেখতে পারবেন এবং বাতিল করার অপশন পাবেন। বাতিল করার মাধ্যমে টাকাটি আবারও ফেরত পাবেন।

তবে মনে রাখতে হবে, এভাবে বিকাশ একাউন্ট নেই এমন নাম্বারে ভুলে টাকা গেলে উক্ত নাম্বারের মালিক বিকাশ একাউন্ট খোলার পূর্বেই সেন্ড মানি বাতিল করতে হবে। এতে করে, টাকা ফেরত পাওয়া সম্ভব হবে। নয়তো, আইনি সহায়তা নেয়া ছাড়া উক্ত টাকা ফেরত পাওয়া কষ্টকর হবে।

নন বিকাশ নাম্বারে টাকা চলে গেলে ফেরত পেতে করণীয়

নন বিকাশ নাম্বারে টাকা চলে গেলে উক্ত ব্যক্তি বিকাশ একাউন্ট খোলার আগেই লেনদেনটি বিকাশ অ্যাপ ব্যবহার করে বাতিল করতে হবে। বাতিল করা সম্ভব না হলে কাস্টমার কেয়ারে কল দিয়ে বিস্তারিত জানাতে হবে। এরপর, তারা আপনার বিষয়টি যাচাই করে যে নাম্বারে ভুল করে টাকা সেন্ড করেছেন, সেই বিকাশ একাউন্টটি ফ্রিজ করে দিবে।

এরপর, উক্ত ব্যক্তি যদি লেনদেনের সঠিক প্রমাণ দেখাতে না পারে, তাহলে আপনাকে আবারও টাকা ফেরত দেয়া হবে। তবে, বিকাশ একাউন্ট খোলার আগেই বিকাশ অ্যাপ দিয়ে বাতিল করে দিলে ভোগান্তির শিকার হতে হবেনা।

আরও পড়ুন —

ভুল বিকাশ নাম্বারে টাকা চলে গেলে করণীয়

ভুল বিকাশ নাম্বারে টাকা চলে গেলে উক্ত নাম্বারে যোগাযোগ করে টাকা ফেরত নিতে অক্ষম হলে বিকাশ প্রতিনিধির সাথে যোগাযোগ করতে হবে। এরপর, নিকটস্থ থানায় একটি জিডি করে জিডির কপি নিয়ে বিকাশ কাস্টমার কেয়ারে যোগাযোগ করতে হবে। তাহলে, আপনার অভিযোগের প্রেক্ষিতে তারা সংশ্লিষ্ট বিকাশ একাউন্টটি ফ্রিজ করে দিবে।

এরপর, উক্ত ব্যক্তিকে লেনদেনের প্রমাণ দেখাতে বলা হবে। প্রমাণ দেখাতে না পারলে আপনাকে টাকা ফেরত দেয়া হবে।

তবে, উক্ত নাম্বারের মালিক যদি পূর্বেই আপনার ভুল করে পাঠানো টাকা উত্তোলন করে ফেলে, তাহলে টাকা ফেরত পেতে অনেক ভোগান্তির শিকার হতে হবে। এক্ষেত্রে, জিডি করে পুলিশের সহায়তা নিয়ে টাকা ফেরত নেয়ার জন্য প্রচেষ্টা চালাতে হবে। এভাবে ভুল বিকাশ নাম্বারে টাকা চলে গেলে টাকা ফেরত আনা যাবে।

সেন্ড মানি টু নন বিকাশ একাউন্ট

বিকাশ একাউন্ট রেজিস্টার করা নেই এমন নাম্বারে বিকাশ থেকে টাকা সেন্ড করা যায়। টাকা সেন্ড করার ৭২ ঘণ্টার মাঝে যদি উক্ত নাম্বারে বিকাশ একাউন্ট রেজিস্টার করা হয়, তাহলে উক্ত বিকাশ একাউন্টে টাকা যুক্ত হবে। যদি, ৭২ ঘণ্টার মাঝে বিকাশ একাউন্ট খোলা না হয়, তাহলে টাকা আবারো আপনার নাম্বারে ফেরত আসবে।

আপনি যদি ভুল করে বিকাশ একাউন্ট নেই এমন নাম্বারে সেন্ড মানি করে ফেলেন, তাহলে উক্ত নাম্বারে ৭২ ঘণ্টার মাঝে বিকাশ একাউন্ট খোলা না হলে আপনি টাকা ব্যাক পাবেন। তবে, ভুলে সেন্ড করলে বিকাশ অ্যাপ ওপেন করে Send Money অপশন থেকে লেনদেনটি Cancel করা যাবে।

এভাবে, ভুল করে নন বিকাশ নাম্বারে টাকা সেন্ড মানি করলে সহজেই সেটি বাতিল করা যাবে এবং টাকা ফেরত আনা যাবে। তবে, বিকাশ আছে এমন নাম্বারে ভুল করে টাকা সেন্ড করলে সেটি ফেরত পেতে কিছুটা সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে।

সারকথা

বিকাশ একাউন্ট নেই এমন নাম্বারে টাকা সেন্ড করে ফেললে বিকাশ অ্যাপ ব্যবহার করে সেন্ড মানি অপশন থেকে লেনদেন বাতিল করার সুযোগ রয়েছে। লেনদেন বাতিল না করলে এবং ৭২ ঘণ্টার মাঝে উক্ত নাম্বারে বিকাশ একাউন্ট রেজিস্টার করা না হলে টাকাটি আপনার একাউন্টে ফেরত চলে আসবে।

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *